পৃষ্ঠাসমূহ

Tuesday, December 30, 2014

ছাত্রলীগের কর্মসূচি মোকাবিলার ক্ষমতা নেই বিএনপির: তোফায়েল


আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘গাজীপুরে এক ছাত্রলীগের কর্মসূচি মোকাবিলা করার ক্ষমতা বিএনপির নেই। প্রতিবাদে হরতাল ডেকে জ্বালাওপোড়াও এবং ঢিল ছুড়ে এক শিক্ষিকাকে মেরেছে। আর হরতালের দিন মাঠে বিএনপির নেতাদের খুঁজে পাওয়া না।’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া গাজীপুরে যেতেই সাহস পাননি। সত্যিকারের নেতা যদি হতেন, তিনি সেখানে যেতেন। সরকার বাধা দিলেও সেখানে জনসভা করতেন।’
আজ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চে দীর্ঘ ১০ বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
গতকাল সোমবার হরতালের সময় পিকেটারের ছোড়া ইটের আঘাতে শামছুন নাহার নামের এক স্কুলশিক্ষিকা নিতহ হন। এ প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আওয়ামী লীগের এজেন্টরা এটা করেছে।” বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের কথা যদি সত্য হয়, তাহলে ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সবাই আওয়ামী লীগের এজেন্ট। এই এজেন্টদের দিয়ে আন্দোলন হবে না।’ 
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘মিডিয়াই বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখেছে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিলেন শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করবেন না। আর এখন খালেদা জিয়া প্রতিদিন এতিমের মতো আমাদের অনুরোধ করছেন সংলাপ করতে। সংলাপ হবে। অপেক্ষা করতে হবে। ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে যেকোনো একদিন নির্বাচন হবে।’
সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ এ কে এম এমদাদুল বারীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, সাংসদ এ বি তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, নবীনগরের সাংসদ ফয়জুল রহমান, ফজিলাতুনন্নেছা বাপ্পী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী, পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার প্রমুখ।

কাল সন্ধ্যায় ‘জরুরি’ সংবাদ সম্মেলন খালেদার

আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ মঙ্গলবার রাতে খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনটিকে তিনি ‘জরুরি’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দেবেন বলে বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।

Saturday, December 20, 2014

জাকারবার্গের বিবেচনায় ‘ডিজলাইক’




সাড়ে ৪ কোটি শিশুর জন্য ৩৫ কোটি বই তৈরি



Thursday, December 18, 2014

পাচার করা নয়, ৫১ হাজার কোটি টাকার পুরোটাই বিদেশে উপার্জিত দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের

ঢাকা ব্যুরো থেকে ॥ আলোচিত ব্যবসায়ী ‘প্রিন্স’ মুসা বিন শমসের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যে অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত করছে, তার পুরোটাই বিদেশে উপার্জনের দাবি করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমার বিষয়ে যা বলা হয়, আমি সাত বিলিয়ন ডলার বা ৫১ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছি। কেউ কোনো দিন এত টাকা এদেশে আয় করতে পারেনি, পারবেও না। আমি এই টাকা বিদেশে উপার্জন করেছি।”
সাত গাড়ি দেহরক্ষী নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে আসেন মুসা, জাঁকজমকপূর্ণ চালচলনের কারণে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে যাকে ‘বাংলাদেশের প্রিন্স’ বলা হয়। অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক কার্যালয়ে মুসাকে প্রায় তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী। তিনিই বিষয়টি অনুসন্ধানের দায়িত্বে রয়েছেন। আলোচিত এই ব্যবসায়ীকে তলব করে গত ৪ ডিসেম্বর গুলশানের বাসা ও বনানীর ব্যবসায়িক কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল দুদক।
সুইস ব্যাংকে আটকে থাকা সাত বিলিয়ন ডলার (৫১ হাজার কোটি টাকা) উদ্ধার হলে দেশে ফিরিয়ে এনে দেশ গড়তে দেশের মানুষের জন্য দিয়ে দেবেন বলে জানান মুসা বিন শমসের। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন। সুইস ব্যাংকে আটকে থাকা ৫১ হাজার কোটি টাকা দেশে ফেরত আনা ও বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের উৎস খুঁজতে তাকে জিজ্ঞাসবাদ করতে দুদক নোটিশ দেয়। এই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দুদক কার্যালয়ে আসেন তিনি। 
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক থেকে বেরিয়ে মুসা বিন শমসের সাংবাদিকদের বলেন, দুদক আমাকে ডেকেছে, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক, সেকারণে দুদকের ডাকে আমি এসেছি। অভিযোগের তদন্ত প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব গল্পেরই একটি ইতিহাস থাকে, ইতিহাস পর্যালোচনা করলে সত্য বেরিয়ে আসে। আমার বিষয়ে বলা হচ্ছে আমি সাত বিলিয়ন ডলার বা ৫১ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছি। আমি এ দেশ থেকে কোনো টাকা অর্জন করিনি। বিদেশে ব্যবসা করে আমি এ সব অর্থ অর্জন করেছি। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে আমি ব্যবসা করে আসছি। কেউ কোনো দিন এত টাকা এদেশে আয় করতে পারেনি, পারবেও না। এ টাকা পাচার করা টাকা না।
অর্থ পাচারের বিষয়টি অস্বীকার করলেও সুইস ব্যাংকে টাকা থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেননি মুসা বিন শমসের। এবারই প্রথম তিনি সুইস ব্যাংকে আটকে থাকা টাকার বিষয়ে মুখ খুললেন। তিনি বলেন, সুইস ব্যাংকে আটকে থাকা ওই টাকা আমার। এ টাকা উদ্ধার করা গেলে পদ্মা সেতু, দুঃস্থ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষকসহ সামাজিক গঠনমূলক কর্মকান্ডে অবদান রাখব। সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করব।
পদ্মা সেতু নির্মাণে তিন বিলিয়ন ডলার ব্যয় তার জন্য বেশি কিছু না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ শুধু আমারই নয়, আমার পিতারও স্বপ্ন ছিল। সেতু নির্মাণে গোয়ালন্দ থেকে আরিচা, নগরবাড়ি এ্যাঙ্গেলে তিন বিলিয়ন ডলার খরচ হবে। আমি অফিসিয়ালি দুদককে বলেছি, সেতু নির্মাণের বিভিন্ন খাতে আমি বিনিয়োগ করব। এদিকে জনশক্তি রফতানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের রেমিটেন্স আসে জনশক্তি রফতানি থেকে। জনশক্তি রফতানি না হলে আমাদের দেশ সোমালিয়া হয়ে যেত। দুদকের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক বুঝতে পেরেছে ‘আমি কে।’ আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধা রেখেই দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হয়েছি।”
দুদক সূত্র জানায়, বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস এর প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে ২০১১ সালে মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তবে অজ্ঞাত কারণে দুদকের এ অনুসন্ধান আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘ তিন বছর পর চলতি বছরের ‘বিজনেস এশিয়া’ ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে অবারও নতুন করে অনুসন্ধানে নামে দুদক। বিজনেস এশিয়া ম্যাগাজিনে মুসাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি এই ধনাঢ্য অস্ত্র ব্যবসায়ীর সাত বিলিয়ন ডলার সুইস ব্যাংকে আটকে আছে। যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ উপমহাদেশে প্রিন্স মুসা শীর্ষস্থানীয় বর্ণাঢ্য ব্যক্তি যিনি এক বিলিয়ন পাউন্ড উপার্জন করেছেন ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র বেচাকেনার ব্যবসা করে।
২০১১ সালে প্রকাশিত ফোর্বস ম্যাগাজিনে বলা হয়, মুসা বিন শমসেরই বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তার সম্পত্তির মূল্য প্রায় ১২ বিলিয়ন ইউএস ডলারের ওপরে। তিনি অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক পরিচিত। মুসা বিন শমসের ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে অনুদান দিতে চেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। লেবার পার্টির প্রার্থী টনি ব্লেয়ার নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য তার পাঁচ মিলিয়ন ডলার অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। দুদক সূত্র আরও জানায়, ২০১১ সালের ২৪ জুন মুসার যাবতীয় ব্যাংক হিসাব তলব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুদকের চাহিদার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুসার ব্যাংক হিসাব তলব করলেও রহস্যজনক কারণে এর কোনো অগ্রগতি হয়নি। এরপর এবছর নতুন করে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। উল্লেখ্য, দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর মোঃ জয়নুল আবেদীন শিবলী মুসা বিন শমসেরের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন।

খুলনায় ভারতীয় দূতাবাসের শাখা শীঘ্রই


চিকিৎসা ভিসার জন্য অনলাইন সিরিয়াল লাগবে না
এ এইচ হিমালয় : ভারতীয় ভিসার জন্য আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না রোগীদের। অনলাইন সিরিয়ালের জন্য দৌড়ঝাঁপ, সেই সাথে দালালদের পেছনেও আর ঘুরতে হবে না। আগামী রোববার থেকে অসুস্থ রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শপত্র জমা দিলেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। রোগীদের জন্য অনলাইন সিরিয়ালের প্রয়োজন পড়বে না। খুলনার মানুষদের জন্য আরও সু-খবর দিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। অচিরেই খুলনায় ভারতীয় দূতাবাসের শাখা খোলা হচ্ছে। ফলে খুলনা থেকেই ভিসার আবেদনপত্র গ্রহণ, খুলনাতেই প্রেসেসিং এবং এখান থেকেই ভিসা দেয়া হবে।  খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কষ্ট লাঘবে ২০১১ সালের ২৯ মে খুলনায় শুরু হয় ভিসার আবেদন গ্রহণ কেন্দ্র। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার খুলনা শাখার মাধ্যমে এই আবেদন জমা নেয়া হতো। কিন্তু অনলাইনের সিরিয়াল নিয়ে শুরু হয় জটিলতা। অনলাইনে সিরিয়াল না মিললে ভিসার আবেদন করা যায় না। আর এই সিরিয়ালের জন্য দালালদের পেছনে দিনের পর দিন ঘুরতে হয় ভিসা প্রত্যাশীদের। অকারণে ব্যয় করতে হয় হাজার হাজার টাকা। ওয়েব সাইট হ্যাকের মাধ্যমে মুষ্টিমেয় ব্যক্তিরা সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণ করায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীদের। অনেক রোগী চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েও ভিসার অভাবে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এসব কারণেই রোগীদের জন্য ভিসা প্রাপ্তি সহজ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দীপ চক্রবর্তী পূর্বাঞ্চলকে বলেন, এখন থেকে কোনো অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য ভারত সফরে যেতে কম্পিউটার অনলাইনে সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ খুলনা ভিসা সেন্টারে জমা দিয়ে রোগীরা ভিসা নিতে পারবেন। এ ব্যাপারে গতকালই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, খুলনার মানুষের জন্য ভিসাপ্রাপ্তি আরও সহজ করতে খুলনায় ভারতীয় দূতাবাসের একটি শাখা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য ইতোমধ্যে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পাওয়ার সাথে সাথেই খুলনা ভারতীয় দূতাবাসের শাখা খোলার কাজ শুরু হবে। ফলে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভিসা পেতে আগের থেকে কম কষ্ট হবে।  ভিসা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ সংক্রান্ত মৌখিক নির্দেশনা গতকালই তারা পেয়েছেন। আগামী রোববার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শপত্র যাতে কেউ খারাপ কাজে ব্যবহার না করে সেজন্য বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হবে। অন্যথায় দেখা যাবে, প্রকৃত রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শপত্র দিয়ে ভিসা না পেলেও ভুয়া পরামর্শপত্র দিয়ে দালালরা ভিসা নিচ্ছে।

পেশোয়ার হামলায় ব্যবহৃত গাড়ির মালিক গ্রেপ্তার

পাকিস্তানের পেশোয়ারে সেনাবাহিনীর পরিচালিত স্কুলে হামলায় চালিয়ে ১৪১ জনকে হত্যার ঘটনায় জঙ্গিদের ব্যবহার করা গাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করেছে ইসলামাবাদ পুলিশ। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে দ্য ডন। গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা না হলেও পুলিশ হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার সঙ্গে জঙ্গিদের কোনো যোগাযোগ আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। পুলিশ সুপারইনটেনডেন্ট (এসপি) অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ইলিয়াস ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান পুলিশের মহাপরিদর্শক তাহির আলম খান। পুলিশ জানিয়েছে, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জঙ্গিদের ব্যবহৃত গাড়িটির না¤॥^ার (এনই-১৮৭) ইসলামাবাদ পুলিশকে দিয়ে সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করার অনুরোধ জানিয়েছিল। ওই নাম্বার অনুযায়ী নথিপত্র ঘেঁটে এসপি ইলিয়াস ওই গাড়ির মালিক ও তার বাড়ির ঠিকানা সনাক্ত করেন। ঠিকানা অনুযায়ী ইসলামাবাদের ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গাড়ির মালিকের এক আত্মীয়কে আটক করা হয়। ওই আত্মীয় সহায়তায় পরে পুলিশ ওই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন সরকারি একটি বিভাগে চাকরি করেন বলে কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে। তবে অপর কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, ওই সন্দেহভাজন ও তার ছেলে একটি ট্রাভেল এজেন্সি চালান আর পেশোয়ারের বিশ্ববিদ্যালয় সড়কে তাদের একটি শাখা আছে।গত পাঁচ বছর ধরে জঙ্গিদের ব্যবহৃত গাড়িটি ওই সন্দেহভাজনের মালিকানায় ছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদ কালে জানা গেছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সূত্রের এসব তথ্য স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করা হয়নি। নিজের গাড়িটি সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করেছেন এমন তথ্য তার জানা নেই এবং গাড়িটি তার এক আত্মীয় ধার নিয়েছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছে ওই সন্দেহভাজন।

To day news





সুপ্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়তে কাজ করছে সরকার






প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকার পেশাদার ও সুপ্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) এবং আমর্ড ফোর্স ওয়ার (এএফডব্লিউ) কোর্স-২০১৪ এর গ্রাজুয়েশন সিরিমনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। খবর: বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, এৎজন্য আমরা জাতীয় বাজেটে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছি এবং সশস্ত্র বাহিনী গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছি। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সৃষ্ট সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে গর্ববোধ করে। আমাদের দেশপ্রেমিক সেনা বাহিনী জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সবসময়ে তাদের পাশে রয়েছে। ভবিষ্যতেও তারা জনগণের পাশে থাকবে বলে তিনি দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন। 
শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর লক্ষ্য অর্জনে চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাঙ্ক এমবিটি-২০০০, সেলফপ্রোপেলড গান, রাডার, সেনাবাহিনীর জন্য এপিসি এবং সামরিক বিমান বাহিনীর জন্য আধুনিক হেলিকপ্টারসহ আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করেছে। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌ বাহিনীর জন্য সাবমেরিন ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২০১৬ সালের মধ্যে এই সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় হেলিকপ্টার, মেরিন পেট্টোল এয়ারক্রাপ্ট, মর্ডান ফ্রিগেট ও জাহাজ কেনা হয়েছে। 
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অখন্ডতা ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে এবং যে কোন ধরনের প্রাকৃতিক ও অন্য কোন দুর্যোগের সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়াচ্ছে। 
শেখ হাসিনা বলেন, তারা কৌশলগত অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এবং দেশে ও দেশের বাইরে খুবই মানসম্পন্ন কাজ করছে। তারা দেশে ও বিদেশে ভাল কাজ করে সুনাম বয়ে আনছে। 
তিনি জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যেকার এই অংশীদারিত্ব আগামীতে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। 
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অধিক সম্ভাবনাময় ও কানেকটেক্ট ওয়ার্ল্ডে বসবাস করছি। এ জন্য আমরা অধিক ঝুঁকিতে রয়েছি। উন্নয়নশীল দেশগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রণীত নীতির মধ্যে চলছে। ফলে উন্নত দেশগুলো এ সকল দেশ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় আমাদেরকে অবশ্যই অর্থনীতি বহুমুখীকরণ ও শক্তিশালীকরণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে।

আপনারা PC Clash of clan থেলার উপায়




1.open web firefox/torch/chorom/any
2.go to http://www.bluestacks.com/
3.and Download for PC
4.Inistall bluestacks
5.download clash of clan and double click on clash of clan.apk
6.play and Enjoy...

Wednesday, December 17, 2014

সুনামগঞ্জে যাবজ্জীবন পলাতক আসামিসহ গ্রেফতার ৫২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম





সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে  যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি, এক ডাকাত ও বিভিন্ন মামলার ৫২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দিনগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (১৮  ডিসেম্বর) ভোর ৫টা পর্যন্ত জেলার ১২টি থানায় এ বিশেষ অভিযান চালানো হয়।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জেলার ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের ছনুয়া গ্রামের মৃত মছব্বির আলীর ছেলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মমিন মিয়াকে চরমহল্লা এলাকা থেকে ও ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জগন্নাথপুর উপজেলার কামরাখাই গ্রামের মনির মিয়ার ছেলে লিটন মিয়াকে (৩৫) পাইপগানসহ গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ছাতক থানার একটি হত্যা মামলায় কিছুদিন আগে মমিনকে সুনামগঞ্জের একটি আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

বুধবার দিনগত রাত পৌনে ৩টায় জগন্নাথপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের উত্তরের ফুটবল খেলার মাঠে ১৪-১৫ জনের একদল ডাকাত  ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। টের পেয়ে এলাকাবাসী তাদের ঘেরার করে। এসময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও লিটনকে ঘেরাও করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হারুণ অর রশিদ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

Tuesday, December 16, 2014

The Pakistani city of Peshawar is burying its dead after a Taliban attack at a school killed at least 132 children and nine staff.




Mourners crowded around coffins bedecked with flowers, while other families waited at hospitals for news.
Prime Minister Nawaz Sharif declared three days of mourning and Pakistan's army struck at militants in the region.
Mr Sharif also convened a meeting of all parliamentary parties in Peshawar to discuss the response to the attack.
The meeting on Wednesday was called to show that the whole nation stood against extremism, Information Minister Pervaiz Rashid told reporters.
World leaders voiced disgust at the Taliban's deadliest attack to date, which even its Afghan allies disowned.
According to the army, Tuesday's attack was carried out by seven Taliban attackers, all wearing bomb vests.
They cut through a wire fence to enter the school from the rear and attacked an auditorium where children were taking an exam.
Gunmen then went from classroom to classroom at the military-run school, shooting pupils and teachers where they found them, survivors say.
Prime Minister Nawaz Sharif: "The anti-terrorism campaign in Pakistan will continue until terrorism is rooted out"
The siege at Peshawar's Army Public School, which teaches boys and girls from both military and civilian backgrounds, lasted eight hours.
A total of 125 people were wounded, according to the army before all seven attackers were killed. Hundreds of people were evacuated.
The Pakistani Taliban sought to justify the attack by saying it was revenge for the army's ongoing campaign against them. The school was chosen as a target, the militants said, because their families had also suffered heavy losses.
In line with the Islamic custom, mourners began burying victims as darkness fell.
The bier carrying the shrouded body of one teacher was strewn with flowers as men crowded around it.

Bandladesi BooKs






apni akany Bangldesi sob book paben.
ai je LINE: http://www.ebook.gov.bd/

Sunday, December 14, 2014

বেক্সিমকো গ্রুপের জন্য ব্যাংকের বিশেষ সুবিধা

বেক্সিমকো গ্রুপের নানা অনিয়মের ঋণসহ মোট পাঁচ হাজার ২৬৯ কোটি টাকার ঋণ ২০২৬ সাল পর্যন্ত পুনঃ তফসিল করে দেওয়া হচ্ছে। সোনালী ব্যাংকের পর জনতা ব্যাংক বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণ পুনঃ তফসিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অগ্রণী, রূপালী, ন্যাশনাল, এক্সিম, এবি ব্যাংকেও চলছে এই প্রক্রিয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী তিনবারের বেশি কোনো খেলাপি ঋন পুনঃ তফসিল করা যায় না। অথচ সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ এরই মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণ সপ্তমবারের মেতা পুনঃ–তফসিল করেছে। 
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের আবেদন গ্রহণ করে ঋণ পুনঃ তফসিল করা হচ্ছে। সালমান এফ রহমান আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা। আর্থিক খাতে নানা অনিয়মের দায়ে বেক্সিমকো গ্রুপ তিন দশকের বেশি সময় ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে। এর আগেও বারবার পুনঃ তফসিল করে ঋণ পরিশোধ করেনি গ্রুপটি। আবার ১৯৯৬ ও ২০০৯-১০ সালে শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় বেক্সিমকো গ্রুপের নাম রয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ গত নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে বেক্সিমকোর ৯৮২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ঋণ সপ্তমবারের মতো পুনঃ তফসিলের সিদ্ধান্ত নেয়। ঋণ পরিশোধের সময় দেওয়া হয়েছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত দীর্ঘ সময়ের জন্য অন্য কাউকেই এই সুবিধা দেওয়া হয়নি। আর জনতা ব্যাংকের পর্ষদ গত বুধবার এক হাজার ৮৫৩ কোটি টাকার ঋণ পুনঃ তফসিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১১ বছরের জন্য, ২০২৫ সাল পর্যন্ত। এসব সিদ্ধান্ত এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
জনতা ব্যাংকে ২ ডিসেম্বর নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান। তাঁর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত পর্ষদের দুটি সভায় ঋণগুলো পুনঃ তফসিলের এ সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে এ কে এম কামরুল ইসলাম জনতা ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকাকালে পর্ষদ ঋণগুলো পুনঃ তফসিলের বিষয়ে একাধিক দফা আলোচনা করে। তখনই পর্ষদ ঋণগুলো পুনঃ তফসিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও ঋণের অর্থ বেক্সিমকো কীভাবে সংগ্রহ করবে, সেই তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু সেই তথ্য ছাড়াই পুনঃ তফসিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনতা ব্যাংক।
যোগাযোগ করা হলে ওয়াহিদ-উজ-জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগের পর্ষদ ঋণ পুনঃ তফসিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা তা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য পাঠাতে বলেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন দুই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া আর কোম্পানি চালু রেখে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়।’
ব্যাংক সূত্র জানায়, বেক্সিমকো গ্রুপের কয়েকটি কোম্পানি নিজেদের মধ্যে পণ্য কেনাবেচা করতে জনতা ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়কে মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছিল ২০১০-১১ সালে। ব্যাংক খাত থেকে হল-মার্ক একই প্রক্রিয়ায় অর্থ বের করে নেয়। এমনিভাবে অগ্রণী, এক্সিম ব্যাংক থেকেও ঋণ সৃষ্টি করে বেক্সিমকো গ্রুপের কয়েকটি কোম্পানি। আর এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সটেক্স, বেক্সিমকো সিনথেটিক, ক্রিসেন্ট অ্যাকসেসরিজ, অ্যাসেস ফ্যাশন, ক্রিসেন্ট ফ্যাশনস, ইন্টারন্যাশনাল নিট ওয়্যার-১ ও ২।
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে আবেদন করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তাদের বস্ত্র ও পোশাক খাতের কয়েকটি কোম্পানির নেওয়া প্রায় পাঁচ হাজার ২৬৯ কোটি টাকার ঋণ ২০২৬ সাল পর্যন্ত পুনঃ তফসিলের প্রস্তাব করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রস্তাব ও একটি চিঠি দিয়ে ব্যাংকগুলোর কাছে তা পাঠিয়ে দেয়। চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে, ‘আপনাদের নিজস্ব বিচার-বিবেচনার ভিত্তিতে এবং বিদ্যমান বিধিবিধানের আলোকে মতামত অত্র বিভাগে প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
বেক্সিমকোর প্রস্তাবে বলা হয়, তাদের সব ঋণের সুদহার ১০ শতাংশে নির্ধারণ এবং আগামী আড়াই বছর পর্যন্ত মূল ঋণ ও তার সুদ পরিশোধ না করার বিশেষ সুযোগ (মোরেটোরিয়াম) দিতে হবে। আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে বেক্সিমকোর ব্যাংক ঋণ বিতরণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে উল্লিখিত ’০১ থেকে ’০৮ সময়েও বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানি ঋণ পুনঃ তফসিল ও বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পেয়েছে এমন তথ্য-প্রমাণ ব্যাংকগুলোর কাগজপত্রে রয়েছে।
ব্যাংক সূত্র জানায়, সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আরব-বাংলাদেশ ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, বিদেশি স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবিসহ অন্তত পাঁচটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেক্সিমকো গ্রুপে দেওয়া ঋণ ও বিনিয়োগ পুনঃ তফসিল করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের সঙ্গে গত ১২ নভেম্বর মুঠোফোনে এ নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি বলেন, এই প্রথমবারের মতো তাঁরা একটা চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্স কোম্পানি নিয়োগ দিয়ে পুনর্গঠন প্রস্তাবটি তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা আপনাদেরও সমর্থন করা উচিত।’
সালমান এফ রহমান আরও বলেন, গত তিন বছরে তাঁরা ব্যাংক খাতে ৮০০ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করেছেন। এগুলোর মধ্যে বড় অংশ তো অ্যাকোমোডেশন বিল, যা হল-মার্কও করেছিল—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হল-মার্ক অস্তিত্বহীন কোম্পানি বানিয়ে অর্থ বের করে নিয়েছিল। কিন্তু এগুলো মোটেই সে ধরনের নয়, তাদের বড় বড় সব কোম্পানি আছে। গত বছরের শেষ ভাগে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিদেশি ক্রয় চুক্তিগুলো বাতিল হওয়ায় এখন ঋণগুলো পুনর্গঠন করতে হচ্ছে। আর গত দুই দিনে কথা বলার জন্য সালমান এফ রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। পরে খুদে বার্তাও পাঠানো হয়।
সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, এই গ্রুপটি বারবার তাদের খেলাপি ঋণগুলো পুনঃ তফসিল করেছে। নব্বইয়ের দশকের প্রথম ভাগে আইএফআইসি ব্যাংক থেকে তাদের এ কাজ চলছে। তাঁর ডেপুটি গভর্নর থাকাকালে একবার লম্বা সময়ের জন্য পুনঃ তফসিলের প্রস্তাব তারা করেছিল। তবে লম্বা সময় দেওয়া হয়নি।
ইব্রাহিম খালেদ আরও বলেন, এখন দেখার বিষয়, ২০২৬ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ অবাস্তব সময়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃ তফসিলের অনুমোদন দেয় কি না। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংককে সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করার পরামর্শ দেন।

তেল ছড়িয়ে পড়ার পর সুন্দরবনের জেলেরা দুশ্চিন্তায়




বাংলাদেশে সুন্দরবনের জেলেরা বলছেন, নদী ও খালে তেল ছড়িয়ে পড়ার কারণে গত কয়েকদিন ধরে কাঁকড়া ও মাছ না পাওয়ায় তারা জাল ফেলা বন্ধ রেখেছেন।
বিশ্বের বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনের শেলা নদীতে গত মঙ্গলবার একটি ট্যাংকার ডুবে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি লিটার তেল নদী নালায় ছড়িয়ে পড়ায় তারা দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন।
দশ বছরেরও বেশি সময় সুন্দরবনের জয়মনি এলাকায় মাছ ধরছেন ইমরান শেখ।
তিনি বলছিলেন, “শীত হলো কাঁকড়া, কাইন মাছ, ভেটকি ও পাঙাশের মৌসুম। তেল ছড়িয়ে পড়ার পর মাছ পাওয়া যাচ্ছে না তাই সবার মাছ ধরা বন্ধ”
ইমরান শেখ বলছেন, মাছের পরিবর্তে বর্তমানে জেলেরা তেল সংগ্রহেই ব্যস্ত আছেন।
তার ভাষায়, জেলেরা পানি থেকে তেল সংগ্রহ করে নিজেদের ভবিষ্যৎ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
“এই তেল নদীতে থাকলে তো মাছ ধরা পুরোটাই বন্ধ হয়ে যাবে। সারা বছর আমরা কি খাব?”
সাধারণ সময়ে ঐ এলাকায় একজন জেলে দিন প্রতি কমপক্ষে পাঁচশ টাকার কাঁকড়া বা হাজার খানেক টাকার মাছ সংগ্রহ করতে পারেন।
“এখন পানির নিচে কিছু আছে কিনা তো বোঝার কোন উপায় নেই”, বলছিলেন ইমরান শেখ।
ভবিষ্যতে কি হবে তাই সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় তার মতো আরো অনেক জেলে।

তুরস্কের একটি সংবাদপত্র এবং একটি টেলিভিশনের কার্যালয়ে তল্লাসি চালিয়ে ২৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।




আটককৃতদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তুরস্কের অন্যতম প্রধান সংবাদপত্র ‘জামান’ এর অফিসে দুই দফায় অভিযান চালোনো হয়।
প্রথম দফায় প্রতিবাদের মুখে পিছিয়ে যায় পুলিশ।
কিন্তু বিকেলে দ্বিতীয় দফা অভিযানে কয়েকজন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া অপর আর একটি টেলিভিশন স্টেশনে অভিযান চালিয়ে সাংবাদিক, প্রযোজক, পাণ্ডুলিপি লেখক এবং একজন নিরাপত্তা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, ঐ পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলটি যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসিত তুরস্কের ধর্মীয় নেতা এবং হিজমত আন্দোলনের প্রধান ফেতুল্লাহ গুলেন এর অনুসারী।
বিরোধী মতাদর্শের হওয়ার কারণেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

Tuesday, December 2, 2014